শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০ || ১৭ রমজান ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর সুপারিশে আইনমন্ত্রীর অনুমোদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

১৪:৫৭, ৮ মার্চ ২০২১

আপডেট: ১৫:০৭, ৮ মার্চ ২০২১

৪৪১

মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর সুপারিশে আইনমন্ত্রীর অনুমোদন

মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর সুপারিশে আইনমন্ত্রীর অনুমোদেন
মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর সুপারিশে আইনমন্ত্রীর অনুমোদেন

আইন মন্ত্রণালয় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত সাজা স্থগিত করে আগের শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর সুপারিশে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক  অনুমোদন দিয়েছেন। এবং সেই নথি সোমবার ( ৮ মার্চ ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার মুক্তির সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা আগামী ২৪ মার্চ। 

আনিসুল হক বলেন, ‘আমি মতামত দিয়েছি। ছয় মাস আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে উনার স্থগিতাদেশ। পূর্বের যে শর্ত ছিল, সেই শর্তানুযায়ী।’

আনিসুল হক বলেন, ‘উনার আবেদনে বিশেষায়িত চিকিৎসার বিষয়ে কিছু কথা ছিল। সে ক্ষেত্রে তিনি যদি বাংলাদেশের ভেতরে বিশেষায়িত চিকিৎসা নিতে চান সরকারের কোনো আপত্তি নেই।’

খালেদার দণ্ডাদেশ মওকুফ বা বিদেশ যাওয়ার যে আবেদন করা হয়েছিল, সে বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘না, আমরা তো আগের শর্ত দিয়েছি।’

খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইসকান্দার খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে ৩ মার্চ আবেদন জানিয়েছিলেন। পরে তাতে স্বাক্ষর করে সেটি সচিবের দপ্তরের পাঠান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
 

এর আগে, ২ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইসকান্দার সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্ত থাকা খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো ও তাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এই আবেদন করা হয়। আবেদনের পর স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করে সেটি পাঠিয়ে দেন সচিবের দপ্তরে। এখন সেই স্বরাষ্ট্র থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এটি বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে তার পরিবারের তৃতীয় দফা আবেদন।

খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুর্নীতির মামলায় সাজা ভোগ করছিলেন। শারীরিক নানা সমস্যা নিয়ে তিনি প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে সরকারের নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালের ২৫শে মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান। পরে সেপ্টেম্বরে এই মুক্তির মেয়াদকাল আরও বাড়ানো হয়।

শর্তে বলা হয়, মুক্তিতে থাকার সময় খালেদা জিয়া নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। এ সময় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। এছাড়া, তিনি কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও অংশ নিতে পারবেন না বলে শর্তে উল্লেখ আছে। এজন্য গত একবছর ধরে চেয়ারপারসনের কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য বা বিবৃতি নেই।

কারামুক্তির পর থেকে তিনি তার গুলশানের বাসা ফিরোজাতেই আছেন। মাঝেমধ্যে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই, বোন, কিংবা ভাইয়ের স্ত্রী আসেন দেখা করতে। এ ছাড়া আসেন চিকিৎসকেরা। এছাড়া দলীয় নেতারাও তার সঙ্গে দেখা করেন।
চিকিৎসকেরা বলছেন, ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, চোখের প্রদাহ, হৃদ্‌রোগ সমস্যাসহ নানা রকম শারীরিক জটিলতা রয়েছে।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত