বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ || ১০ বৈশাখ ১৪৩১ || ১২ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

৭ মার্চের শেখ মুজিবের ভাষণ অবশ্যই ইতিহাস: মির্জা ফখরুল 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

১৮:০০, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

আপডেট: ১৮:০৬, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

৫৫৬

৭ মার্চের শেখ মুজিবের ভাষণ অবশ্যই ইতিহাস: মির্জা ফখরুল 

সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

একাত্তরের ৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ ‘অবশ্যই ইতিহাস’ - এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার ( ২৭ ফেব্রুয়ারি ) গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘ আমরা শুধু ৭ মার্চ নয়, আমরা ২রা মার্চ, ৩রা মার্চ পালন করছি। 

মির্জা ফখরুল আরও বরেন, আমরা ২রা মার্চ কেনো পালন করছি? সেদিন প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন আসম আবদুর রব। তখনকার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা। আমরা সেটাও পালন করছি, দ্যাট ইজ এ পার্ট অব হিস্ট্রি। তিন তারিখ কি? স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেছেন শাহজাহান সিরাজ সাহেব। এটাকে অস্বীকার করবো কি করে? আজকে তার রাজনৈতিক ধারা ভিন্ন, রাজনৈতিক দল ভিন্ন হতে পারে কিন্তু দ্যাট ইজ রি্য়েলিটি, দ্যাট ইজ পার্ট অব হিস্ট্রি।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, একইভাবে যে ভাষন শেখ মুজিবুর রহমানের তা অবশ্যই ইতিহাস। অবশ্যই তার সন্মান ও মর্যাদা তাকে দিতে হবে। কাউকেই খাটো করার কোনরকম ইচ্ছা বিএনপির নেই্ এবং সেটা উচিতও না। বিশেষ করে স্বাধীনতার ব্যাপারে প্রকৃত সত্য সকলকে উতঘাটিত করতে হবে। বলেন, “এজন্য জোর দিয়ে বলছি যে, আমরাও ওই সময়ে, ওই যুদ্ধের সময়ে আমরা যুবক, আমরা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছি, প্রতিটি মুহুর্ত, প্রতিটি সময় আমাদের সামনে জ্বল জ্বল হয়ে আছে। কে বক্তৃতাতে  ২ রা মার্চে কি বলেছিলেন, ৩রা মার্চে কি বলেছিলেন, ৭ মার্চ কি বলেছিলেন এবং ৯ মার্চ মওলানা ভাসানী কি বলেছিলেন পল্টন ময়দানে-এগুলো ইতিহাস। একই সঙ্গে মাহবুবউল্লাহ কি বলেছিলেন সেটাও একটা ইতিহাস। একই সঙ্গে ২৬ মার্চ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে ঘোষণা জাতিকে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিলো এবং সমগ্র জাতি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো এটাও ইতিহাস। সুতরাং এগুলো কোনটাই অস্বীকার করা যাবে না।”

দেশের ৫০ বছর পরেও জাতি হিসেবে মানুষ বিভক্ত হওয়াকে দুর্ভাগ্য হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, । সেটার জন্য আওয়ামী লীগই দায়ী। জাতিকে প্রথম থেকে তারা স্বাধীনতার পক্ষে, স্বাধীনতার বিপক্ষে, চেতনার পক্ষে, চেতনার বিপক্ষে নিয়ে গেছে। বলেন, ওই চেতনা নিয়ে কি দেশ স্বাধীন হয়েছিলো যে গণতন্ত্র লুট করে নেবো, আগের রাত্রে নির্বাচন করে সরকার ভোট লুট করবে। 

ডিজিটাল আইনের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে যে ডিজিটাল আইন তৈরি করা হয়েছে সাংবাদিকরা তার সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। 

জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলে জিয়াউর রহমান এবং বিএনপির কিছুই যায় আসে না বলে মন্তব্য করে্ মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস ধারণ করেছে। কে কার খেতাব নিলো, না নিলো তাতে জিয়াউর রহমানের কিছু যায় আসে না আর এদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষেরও কিছু যায় আসে না। বিএনপিরও কিছু যায় আসে না।
 
মির্জা ফখরুল বলেন,  ‘‘ বিএনপির স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে অবশ্যই  নিমন্ত্রণপত্র তাদের ( আওয়ামী লীগ ) কাছে যাবে। আজকেই যাবে।

এসময় দৈনিক যুগান্তরের উপ সম্পাদক আহমেদ দীপু, দৈনিক কালের কন্ঠের উপ-সম্পাদক এনাম আবেদীন, দৈনিক সমকালের সহযোগী সম্পাদক সবুজ ইউনুস, প্রধান প্রতিবেদক লোটন ইকরামসহ বিভিন্ন মিডিয়ার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
 
মিডিয়া কমিটির আহবায়ক ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শ্যামা ওবায়েদের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্র চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মিডিয়া কমিটির সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন, আতিকুর রহমার রুমন, শায়রুল কবির খান, ফারজানা শারমিন পুতুল, ইয়াসির খান, মাহমুদা হাবিবা, শফিকুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির, মীর সোলায়মান, নুরুল ইসলাম সাজু, বাবুল তালুকদারসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। 
 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত