শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০ || ১৭ রমজান ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

৪ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক গণতন্ত্র মঞ্চের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

১৭:১৮, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩

৩৭০

৪ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক গণতন্ত্র মঞ্চের

জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদের পাশাপাশি সব রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১৪ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ শেষে এই ঘোষণা দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

নাগরিক ঐক্যের এই নেতা বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাঘে ধান খাওয়ার মতো স্বীকার করেছেন, র‍্যাব মানুষ মেরেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছি, অবস্থা ঠিকঠাক হয়ে গেছে। এখন থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বিবৃতি দিয়েছে, এমন কোনো কথা তাদের সঙ্গে হয়নি।

সংগঠনকে শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, একটা কর্মসূচির পর আরেক কর্মসূচি আসে। আমরা আসি-যাই, আবার আসি। কিন্তু প্রত্যেকটি কর্মসূচিই একটির চেয়ে আরেকটি আরও শক্তিশালী, আরও সাহস সঞ্চার করে। আগামীতে আমরা আবারও রাস্তায় আসব, আরও শক্তি সঞ্চার করে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে সাইফুল হক বলেন, মাত্র ৩ মিনিটে আজকের এই দিনে জাতীয় সংসদে বাকশাল গঠনের আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। কোনো আলোচনার সুযোগ দেওয়া হয়নি। সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে মাত্র তিনটি দলকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। চারটা সংবাদপত্র ছাড়া সকল গণমাধ্যমকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

সাইফুল হক বলেন, জঙ্গিরা যেমন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারে বিশ্বাস করে না, মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করে না, মানুষের বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, তেমনি আওয়ামী লীগ দমন করে, রোধ করে একটা অনিশ্চয়তার দিকে দেশকে ঠেলে দিয়েছে। এভাবে আওয়ামী লীগ ৪ বছর ধরে তার তৃতীয় রাজনৈতিক মৃত্যুর জমিন তৈরি করেছে।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, নব্বইয়ের দশক থেকে বিভিন্ন দেশে কর্তৃত্ববাদের চর্চা করা হয়েছে। যেখানে নির্বাচন মোড়ক আকারে থাকবে। নির্বাচন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, প্রার্থী বাছাই হবে। এমনকি টেলিভিশনে তা নিয়ে ডিবেট হবে। কিন্তু ভোটের দিন মানুষ নির্ধারণ করবে না যে, কে নির্বাচিত হবে। বরং যারা ক্ষমতায় আছেন তারা নির্ধারণ করবে যে কারা ক্ষমতা পাবে। যা আওয়ামী লীগ ২০১৮ সালে করেছে এবং এখন বাজারে কথা শুনতে পাই যে, তারা বলেছে- আসেন আপনারা আমরা সিট ভাগাভাগি করি। এটা হচ্ছে কর্তৃত্ববাদের মডেল।

এছাড়া গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বলেন, যারা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে জীবন দিয়েছেন তারাও এরকম একটা রাষ্ট্র দেখতে চায়নি। আজকে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে আওয়ামী লীগ যে প্রীতি নিতে চাচ্ছে, সেটা তারা নিজেরাই ধ্বংস করছে। আওয়ামী লীগের হাত থেকে আমাদের দেশ ও দেশের মুক্তি ছিনিয়ে আনতে হবে।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত