শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০ || ১৭ রমজান ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

পরিবেশ রক্ষায় বাজেট নিয়ে মির্জা ফখরুলের প্রশ্ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

১৬:১১, ৫ জুন ২০২১

৪৫৬

পরিবেশ রক্ষায় বাজেট নিয়ে মির্জা ফখরুলের প্রশ্ন

আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে পরিবেশ রক্ষায় নজর দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দুদিন আগে একটা বাজেট দিয়েছে। বাজেটে দেখেন তো পরিবেশ প্রকৃতির ওপর কত টাকা বরাদ্দ করা আছে। 

শনিবার (৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত ‘বৈশ্বিক দুর্যোগ : ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, মজার ব্যাপার হচ্ছে, ক্লাইমেট চেঞ্জের ওপর বিশ্বব্যাংকের একটা ফান্ড আছে। সে ফান্ড থেকে কয়েক বছর ধরে তারা ৭০০ কোটি টাকা ফান্ডও পেয়েছে। তার অর্ধেক খেয়ে ফেলেছে, অর্ধেক ফেরত দিয়েছে। সরকারের কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য ছিল লুট করা। লুট করা ছাড়া তাদের কোনো কর্মকাণ্ড আমি দেখতে পাই না।’

বিএনপি মহসচিব আরও বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় আমাদের নেতাদের বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতাদের এবং সরকার দলীয় নেতাদের, বিশ্ব নেতাদের কমিটমেন্ট প্রয়োজন।

‘বাস্তবতা হচ্ছে পৃথিবী ধ্বংস হচ্ছে। পৃথিবী দ্রুত তার ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। কারণ উন্নত দেশগুলো তাদের স্বার্থে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট করেছে। কার্বনের কারণেও ওজন মণ্ডল ফুটো হয়ে গেছে। ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা সৃষ্টি হয়েছে। এ উষ্ণতার ফলে পৃথিবীর সব ইকোসিস্টেম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখানে বিশ্ব নেতাদের একটা কমিটমেন্ট প্রয়োজন। সে কমিটমেন্ট নিয়ে পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষের অস্তিত্বের কারণে সঙ্গে প্রকৃতির দ্বন্দ্ব। মানুষ বেঁচে থাকার প্রয়োজনে, জীবিকার প্রয়োজনে, সভ্যতার প্রয়োজনে বন নষ্ট করেছে, নদী নষ্ট করেছে, পানি নষ্ট করেছে, বড় বড় কংক্রিটের বস্তি গড়ে তুলেছে, আমাদের দেশের রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে হঠাতে হঠাতে একবারে পিছু হটিয়ে ফেলেছে। আগে যে পাখিগুলো আসত, সেগুলো এখন আর আসতে পারে না। জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রকৃতি তার প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছে। আমরা কিন্তু প্রতিনিয়ত এই প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করছি।’

‘আমরা কীভাবে নদী, পানি, মাটি এবং তার বর্জ্য ম্যানেজমেন্ট করব এটার ওপর নির্ভর করবে কতটা সাসটেইনেবল এনভায়রমেন্ট এবং ইকোনমি করতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়া পরিবেশের জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তা ইকো ব্যালেন্স রক্ষার জন্য। এই যে উপকূলের সবুজ বেষ্টনী, সে সময় লাখ লাখ গাছ লাগানো হয়েছিল। রাস্তার ধারে গাছ লাগানোয় সামাজিক বনায়ন হবে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জিয়াউর রহমান যে খাল খনন কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন, তার তিনটি দিক ছিল। তা হচ্ছে প্রাকৃতিক পানি সংরক্ষণ করা ও সেখান থেকে ইরিগেশন করা, মাছের চাষ করা এবং খালের দুই ধারে বাগান তৈরি করা।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত