আন্দোলনের মরণযাত্রায় না গিয়ে নির্বাচনের যাত্রায় আসুন: কাদের
আন্দোলনের মরণযাত্রায় না গিয়ে নির্বাচনের যাত্রায় আসুন: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সরকারবিরোধীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আন্দোলন বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেছে, এটা আর হবে না। আন্দোলনের মরণযাত্রায় না গিয়ে নির্বাচনের যাত্রায় আসুন। ইলেকশনে যদি হারাতে পারেন আমরা বিদায় নেবো!
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি-১) প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রথম পাতালরেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন। বেলা ১১টার দিকে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় নির্মাণকাজের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি মূলত দ্বিতীয় মেট্রোরেল ও প্রথম পাতালরেল।
দেশের প্রথম মেট্রোরেলের উড়ালপথের অংশ রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হয়েছে। গত ২৮ ডিসেম্বর এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এবার দ্বিতীয় মেট্রোরেলের কাজ শুরু হচ্ছে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত, যা মূলত পাতালরেল। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অধীনে বাস্তবায়ন হতে চলা প্রায় ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথ মাটির নিচে নির্মিত হবে।
সেতুমন্ত্রী জানান, পূর্বাচলে এমআরটি লাইন-১ যেটা ২১ কিলোমিটার পাতাল রেল, ১০ কিলোমিটার এলিভেটেড। দুটি রুট আজ উদ্বোধন করা হলো।
তিনি বলেন, মেট্রোরেলের আকর্ষণ দুর্দমনীয়। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হয়েছে। সারা বাংলাদেশ থেকে মানুষ এটায় একবার উঠতে এসছে। কী আকর্ষণ, কী ক্রেজ! চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না।
মোট ছয়টা মেট্রোলাইন ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা আধুনিক গণপরিবহনে সাজবে। এ বছরই আমরা মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল লাইন নিয়ে আসবো।
জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ৫২ হাজার কোটি টাকার ৪০ হাজার কোটিই জাপানের টাকা। জাপান আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী।
সরকারবিরোধীদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, উন্নয়ন হচ্ছে। মাত্র শুরু হয়েছে উদ্বোধন। এই উদ্বোধনের জ্বালা, পদ্মাসেতুর জ্বালা, বঙ্গবন্ধু টানেলের জ্বালা, ১০০ সেতুর জ্বালা, জ্বালায় জ্বালায় অন্তর্জালায় পুড়ে মরে যাচ্ছে। এই উন্নয়ন থেমে থাকবে না। লাল কার্ড দেখসেন না! ১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন! তারেক জিয়ার আগমন! সবেই ভুয়া! ৫৪ দল ভুয়া, ২৭ দফা, ১৪ দল সব ভুয়া। ডান আর বাম সব এককাতারে একাকার। পথ হারিয়ে বিএনপি এখন পদযাত্রায় নেমেছে।
তিনি বলেন, এ মাটি ও মানুষের মাঝে শেখ হাসিনার অস্তিত্ব। যতদিন শেখ হাসিনার হাতে থাকবে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। আপনারা প্রস্তুত থাকেন। খেলা হবে। ডিসেম্বরে খেলা হবে। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, অর্থপাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শেখ হাসিনা ভাবেন। তার পরবর্তী লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। এর জন্য দরকার সুশৃঙ্খল স্মার্ট কর্মী বাহিনী। খেলার জন্য স্কিলড কর্মী হতে হবে। বেশি নেতার দরকার নাই। নেতা একজন শেখ হাসিনা। সবাই কর্মী হতে পারলে কাজে-চেতনায়, বিজয় হবেই।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`