সচিবালয়ে জনপ্রশসান প্রতিমন্ত্রী
সংক্রমণ কমাতে বিধিনিষেধ বাড়তে পারে, সিদ্ধান্ত এক সপ্তাহ পর
সচিবালয়ে জনপ্রশসান প্রতিমন্ত্রী
সংক্রমণ কমাতে বিধিনিষেধ বাড়তে পারে, সিদ্ধান্ত এক সপ্তাহ পর
করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাড়ানো হতে পারে বিধিনিষেধ |
শিক্ষপ্রতিষ্ঠানে স্বশরীরে ক্লাস বন্ধ ছাড়া দৃশ্যত আর কোনো বিধিনিষেধ যখন কাজ করছে না তখন বিধিনিষেধ আরও কঠোর করার কথা জানিয়েছে সরকার। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা আসতে যাচ্ছে সেটি জানানো হয়নি।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে নতুন বিধিনিষেধ জারির বিষয়ে কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয় সরকারের দেয়া বিধিনিষেধ আরও দীর্ঘায়িত হবে কি না। ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘অবশ্যই পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাড়ানো হতে পারে। কারণ আমাদের সচেতনতার উপরে...'
মহামারির তৃতীয় বছরের প্রথম মাসটি পার হচ্ছে সংকটের মধ্য দিয়ে। দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হতো (দৈনিক) গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে। তখন দৈনিক শনাক্তের সর্বোচ্চ হার সাড়ে ৩২ পর্যন্ত উঠেছিল। কিন্তু এবার তৃতীয় ঢেউয়ের শুরুতেই দৈনিক শনাক্তের হার ৩১ ছাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিকে খুবই উদ্বেগজনক বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এ কারণে গভীর অনিশ্চয়তা রয়েছে আগামী মাসগুলো নিয়ে।
তৃতীয় ঢেউয়ের লক্ষণ যখন স্পষ্ট তখন ১৩ জানুয়ারি সরকার জারি করে ১১ দফা বিধিনিষেধ। দেয়া হয় গণজমায়েতে নিষেধাজ্ঞা, গণপরিবহনে যাত্রী অর্ধেক। যদিও পরে ট্রেন ছাড়া অন্য যানবাহনে আসনের সমান যাত্রী বহন করতে বলে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিশ্চিতের পর ২১ জানুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বশরীরে ক্লাস বন্ধের আদেশ আসে। তবে এর মধ্যেও মানুষের জটলা চোখে পড়ছে, এমনকি তৃণমূলে নির্বাচনের জমজমাট প্রচার চলছে। বন্ধ হয়নি বাণিজ্যমেলার মতো আয়োজনও।
যদিও নতুন করে অর্ধেক লোক দিয়ে সরকারি চালানোর নির্দেশ এসেছে, একই নির্দেশ এসেছে আদালত ও ব্যাংকের পক্ষ থেকেও।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এবার মৃত্যুর হার কম থাকার বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এখন যে ভ্যারিয়েন্টটা দেখছি অমিক্রম, সেটা সেরে উঠতে অল্প সময় নিচ্ছে। রিকভারি রেট কিন্তু খুবই ভালো।৮৫ শতাংশের বেশি আক্রান্ত মানুষ ঘরে থেকে ট্রিটমেন্ট নিতে পারছেন এবং তারা সেরে উঠছেন। আমরা অবশ্যই আগামী এক সপ্তাহ পর দেখব এটা (সংক্রমণ) কী পর্যায়ে আছে, সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী নির্দেশনা দেব।’
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য সকলেই মাস্ক পরুক। এই সময়টা আমরা অতিক্রম করতে চাই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্য নাগাদ এটি বাড়তে থাকবে। সকলকে সচেতন হতে হবে। আমরা চাই- এই তৃতীয় ঢেউ থেকে যাতে খুব তাড়াতাড়ি উত্তরণ করতে পারি। সে জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হবে।’
সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি। তবে এর আগে মোবাইল কোর্টের নির্দিষ্ট তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`