খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় অনুমতি দেয়নি আইন মন্ত্রণালয়
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় অনুমতি দেয়নি আইন মন্ত্রণালয়
আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী, আমরা আবেদনটি মঞ্জুর করতে পারছি না, বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী |
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে অনুমতি দেয়নি আইন মন্ত্রণালয়। তার পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদন নাকচ হয়েছে।
রবিবার (৯ মে) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তিনি বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়ার বিধান আইনে নেই বলে মতামত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তার আলোকেই এই সিদ্ধান্ত।’
****খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া প্রসঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত স্বরাষ্ট্রে
তিনি বলেন,আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ৪০১ ধারায় সাজা স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে যে সুবিধা দেওয়া হয়েছে, দ্বিতীয়বার আবার সাজা মওকুফ করে এ ধরনের সুবিধা দেওয়ার (বিদেশ যাওয়ার) সুযোগ নাই।
আসাদুজ্জামান খান বলেন,‘আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী, আমরা আবেদনটি মঞ্জুর করতে পারছি না। তাদেরকে আমরা এটাই জানিয়ে দেব।’
মানবিক দিক বিবেচনা করে বিদেশ যেতে দেওয়া যায় কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,মানবিকতা দেখিয়েই তো সেই সুযোগ আইন অনুযায়ী দেওয়া যায় কিনা সেজন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মানবিকতা দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী সাজা স্থগিত করে উনাকে বাসায় চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।
সকালে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার আবেদনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যেতে গত ৫ মে রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ধানমন্ডির বাসায় গিয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দর। সেদিন রাতেই আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
বিএনপি নেত্রীর দ্বিতীয়বারের মতো করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার তিন দিন পর গত ২৭ এপ্রিল তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এর আগে, গত ১১ এপ্রিল তার প্রথম করোনা ধরা পড়ে। এছাড়াও, তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন। গত ৩ মে শ্বাসজনিত সমস্যার কারণে তাকে হাসপাতালটির সিসিইউয়ে নেওয়া হয়। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায় সরকার শর্তসাপেক্ষে নির্বাহী আদেশে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন।
তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে বাইরের যোগাযোগ সীমিত।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`