শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১ || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ, প্রজ্ঞাপন জারি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

১২:৩২, ১২ এপ্রিল ২০২১

আপডেট: ১৩:০৫, ১২ এপ্রিল ২০২১

৫০২

১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ, প্রজ্ঞাপন জারি

১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচলে বিধিনিষেধ, প্রজ্ঞাপন জারি
১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচলে বিধিনিষেধ, প্রজ্ঞাপন জারি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে চলাচল ও সার্বিক কাজে যে নিষেধাজ্ঞা চলছে, তাতে মহামারি পরিস্থিতিতে কোনও প্রভাব না পড়ায় এবারে কঠোর এবং সর্বাত্মক বিধিনিষেধ আনলো সরকার। ১৪ এপ্রিলের ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত যা বলবৎ থাকবে। 

প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরসোমবার (১২ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এতে  এতে সরকারি-বেসরকারি অফিস এবং গণপরিবহন বন্ধ রাখাসহ ১৩ দফা নির্দেশনা এসেছে।

এতে বলা হয়েছ-অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি)কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না। তবে টিকাদান কর্মসূচি যেহেতু চালু থাকবে তাই টিকা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে  যাতায়ত করা যাবে।

সব সরকারি, আধাসরকারি, সায়ত্ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থল বন্দর এবং এ সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। এবং সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

পণ্য ও জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের পরিবহন (সড়ক, নৌ, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবার ক্ষেত্রে এ আদেশ কার্যকর নয়।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্প-কারখানাগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে শ্রমিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

এ দফায় বন্ধ থাকছে শপিংমল আর দোকানপাটও। দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত হোটেল রেস্তোঁরাগুলো শুধু খাবার পার্সেল সরবরাহ করতে পারবে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত উন্মুক্ত জায়গায় কাঁচাবাজারও বসবে, বাজার কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

আরও বলা হয়েছে জুমার ও রোজার মাসে তারাবির নামাজের বিষয়ে নির্দেশনা দেবে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

পূর্বঘটনা-

গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞায় এখন দূরপাল্লার গণপরিবহন ছাড়া প্রায় সবকিছুই চলছে। সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন যেমন চলছে, তেমনি দোকানপাট এবং শপিংমলও সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা রাখা যাচ্ছে। শিল্পকলকারখানা এবং সরকারি-বেসরকারি অফিসও খোলা।

এমন ঢিলেঢালা পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বরং সংক্রমণ ও মৃত্যুর সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত আছে। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শঙ্কা, বর্তমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও কয়েক সপ্তাহ অব্যাহত থাকলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।  এখনই হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রোগীদের।

এ রকম পরিস্থিতিতে গত ৯ এপ্রিল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। সঙ্গে বাড়ছে জনগণের অবহেলা ও উদাসীনতা। এ অবস্থায় সরকার জনস্বার্থে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তাভাবনা করছে।

সেদিনই জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, সর্বাত্মক লকডাউনে শুধু জরুরি সেবা চালু থাকবে। কোনোভাবেই মানুষ ঘরের বাইরে আসতে পারবে না। রবিবার প্রজ্ঞাপন জারি করে বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে।এবং নিয়ম অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

তবে করোনা বিস্তার নিয়ন্ত্রণে দুই সপ্তাহের লকডাউনের সুপারিশ করেছিলেন দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত কারিগরি কমিটির বিশেষজ্ঞরা। সিটি করপোরেশন এলাকায় পূর্ণ লকডাউনের সুপারিশও করেন তারা।

২০২০ সালে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল। প্রথমে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হলেও পরে কয়েক দফায় বাড়িয়ে টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি ছিল। প্রথমে জরুরি সেবা ছাড়া প্রায় সবকিছু বন্ধ থাকলেও একপর্যায়ে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানাসহ কিছু কার্যক্রম চালু করা হয়।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত