বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১ || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

যে কারণে খালেদা জিয়ার ছবি ছিলনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

১৬:৪৬, ৬ মার্চ ২০২১

আপডেট: ১৬:৪৯, ৬ মার্চ ২০২১

১৭৯৯

যে কারণে খালেদা জিয়ার ছবি ছিলনা

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ব্যানার
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ব্যানার

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিএনপির বছরব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন হয়েছে। গত সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। তবে উদ্বোধনের পর থেকে, অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত ব্যানারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছবি বা নাম না থাকায় নেতা-কর্মীদের (একাংশ) মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। যার কারণে আয়োজক কমিটি নিয়ে সমালোচনাও করছেন দলের নেতা কর্মীরা। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ব্যানারে খালেদা জিয়ার ছবি না থাকায় বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কয়েকজন নেতা বলেন, বিএনপির যেকোনো বড় কর্মসূচিতে দলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি থাকে। অতীত থেকেই এই রীতি চলে আসছে। তবে এবারাই এর ব্যতিক্রম দেখা গেল। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদ্বোধনীর অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ব্যানারে খালেদা জিয়ার ছবি নেই। বিষয়টি অনেক নেতা-কর্মীই ভালভাবে নেননি। 

ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, ‘বদলে যাওয়া এ এক অন্যরকম বিএনপি। সব আছে, সবাই আছে, শুধু নেই বেগম খালেদা জিয়ার ছবি ও নামটি।…’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহবায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অপরাজেয় বাংলাকে বলেন , ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ও বাংলাদেশের ৫০ বছরের প্রকৃত ঘটনাবলী বর্তমান প্রজন্মের কাছে, জনগণের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য। এজন্য বিভিন্ন আলোচনা সভা হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের একটা থিম ছিল, “শহীদ জিয়ার ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধের সূচনা”। সুতরাং সেখানে জিয়াউর রহমানের ছবি থাকাই স্বাভাবিক। বলেন, উদ্বোধনের থিম ছিল জিয়াউর রহমান, তাই ব্যানারেতো জিয়াউর রহমানই থাকবেন, আর কে থাকবেন? পরবর্তীতে বিএনপির যে  আলোচনা সভাগুলো হচ্ছে সেখানেও  জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি থাকছে। তাদের নিয়ে আলোচনাও হচ্ছে। যাদের দলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই, কোন অনুষ্ঠানে আসেনা তারাই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ড. খন্দকার মোশারারফ হোসেন”। 

ছবি না থাকার অভিযোগ বিষয়ে বিএনপির প্রেস উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বলেন, স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের জন্য জাতীয় কমিটি কর্মসূচি নির্ধারণ করেছেন। এগুলো ধারাবাহিক কর্মসূচি। কমিটির বাইরে তার কোনো বক্তব্য নেই। যে অনুষ্ঠানগুলো হচ্ছে তা ধারাবাহিকভাবে সাংবাদিকদের জানানো হচ্ছে।

উৎসব কমিটির কয়েকজন সদস্য বলেন,  জিয়াউর রহমান মানেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। জিয়া থাকলে বিএনপি থাকবে। জিয়া থাকলেই খালেদা জিয়া থাকবেন, তারেক রহমান থাকবেন। সুবর্ণজয়ন্তীর যেসব অনুষ্ঠান হচ্ছে, সবখানেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।  

২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে বিএনপির স্থায়ী কমিটি'র কয়েকজন সদস্য নিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী পালনের কমিটি তৈরি করা হয়। পরে, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে আহবায়ক ও চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আব্দুস সালামকে সদস্য সচিব করে ১২৫ সদস্য বিশিষ্ট "স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি"- গঠন করা হয়। এরপর গঠন করা হয় ৭ সদস্য স্টিয়ারিং কমিটি, বিষয়ভিত্তিক কমিটি, বিভাগীয় কমিটি, পেশাজীবি কমিটি ও বহিঃবির্শ্ব কমিটিসহ মোট ৩১ কমিটি। এসব কমিটিই নির্ধারণ করছেন বছরব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের ধারাবাহিক কর্মসূচি।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত