সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন ৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত
সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন ৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত
২৮ জুলাই অনুষ্ঠেয় সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত |
চলমান কঠোরতর লকডাউনের মধ্যে ২৮ জুলাই অনুষ্ঠেয় সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২৬ জুলাই) শুনানির পর এই আদেশ দেন আদালত।
**সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান লকডাউনে ভোট গ্রহণ স্থগিত চেয়ে আদালতে রিট করা হয়। রিটে ২৮ জুলাইয়ের পরিবর্তে নতুন করে তারিখ চাওয়া হয়।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার আবেদনটির শুনানি করে ৫ আগস্ট পর্যন্ত উপনির্বাচনটি স্থগিতের আদেশ দেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বিপুল বাগমার।
উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত ৫ আগস্ট পর্যন্ত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছে। আদালত বলেছে, আপাতত ৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত। পরে দেখা যাক, কী পরিস্থিতি হয়।
সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর ২৮ জুলাই ভোট গ্রহণের তারিখ পরিবর্তন করতে আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের ছয় আইনজীবী ও ওই এলাকার সাত ভোটার।
আইনি নোটিশে বলা হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে চলমান লকডাউনেও নির্বাচন স্থগিত রাখা সম্ভব নয়। অথচ সংবিধানের ১২৩-এর ৪ দফার শর্ত অনুযায়ী সিলেট উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সুতরাং ২৮ জুলাই অনুষ্ঠেয় নির্বাচন স্থগিত করা যাবে না বলে সিইসি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা আইনের সঠিক ব্যাখ্যা নয়।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের উচিত চলমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি বিবেচনায় নিয়ে লকডাউনের সময় নির্বাচন না করা এবং ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্য যেকোনো দিন ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ করার আবেদন করা হয় রিটে।
নোটিশে বলা হয়, ৩ লাখ ৫২ হাজার ভোটারের আসনে এই নির্বাচন অনুষ্ঠান সরকারের বর্তমান লকডাউন নীতির বিরোধী।
সংবিধানের ১২৩-এর(৪) ধারায় বলা হয়েছে, ‘সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো সদস্য পদ শূন্য হইলে পদটি শূন্য হইবার ৯০ দিনের মধ্যে উক্ত শূন্য পদ পূর্ণ করিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।
‘তবে শর্ত থাকে যে, যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এই দফার নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, তাহা হইলে উক্ত মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।’
চলতি বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
এই আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন হাবিবুর রহমান হাবিব। জাতীয় পার্টির হয়ে লড়ছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক।
বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ না নিলেও দলটির সাবেক সাবেক সংসদ সদস্য ও বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`