ব্যাংক বন্ধ নয়, খোলা থাকছে সকাল ১০টা-১টা
ব্যাংক বন্ধ নয়, খোলা থাকছে সকাল ১০টা-১টা
ব্যাংক বন্ধ নয়, খোলা থাকছে সকাল ১০টা-১টা পর্যন্ত |
২৪ ঘন্টার মধ্যেই কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক খোলা রাখতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুরোধের পর, বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সকাল ১০ থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চলবে লেনদেন। তবে ব্যাংকের আনুষঙ্গিক কাজ চলবে আড়াইটা পর্যন্ত। বরং গত ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহ যত সময় লেনদেন চলেছে, আগামী এক সপ্তাহ তার চেয়ে দেড় ঘণ্টা বেশি লেনদেন চলবে।
**ব্যাংক চালু রাখতে চায় সরকার, সিদ্ধান্ত জানাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ সাইট সুপারভিশন বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়।
ব্যাংক খোলা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রতিটি ব্যাংকের উপজেলা শহরের একটি শাখা খোলা থাকবে রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার। আর সিটি করপোরেশন এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে একটি শাখা প্রতি কর্মদিবস খোলা রাখতে হবে। এ ছাড়া প্রধান শাখাসহ বৈদেশিক মুদ্রায় অনুমোদিত ডিলার শাখা খোলা রাখতে হবে।
**ব্যাংকগুলোয় দিনভর উপচে পড়া ভিড়
সোমবার (১২ এপ্রিল) সরকারের প্রজ্ঞাপনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক কেবল বন্দর এলাকার ব্যাংক ছাড়া বাকিগুলো এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। পাশাপাশি আর্থিক সেবা দেওয়া ব্যাংকের সব উপ-শাখা, বুথ ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং সেবাও বন্ধ থাকবে বলে জানায়।
কিন্তু এ নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠার পর মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে চিঠি পাঠায়। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ব্যাংক খোলা রাখার এ সিদ্ধান্ত জানালো।
**কঠোর বিধিনিষিধে শুধু ব্যাংকের বন্দর শাখা খোলা থাকবে
সরকার এই এক সপ্তাহে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করলেও জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চালু থাকবে। ব্যাংক খাতকে জরুরি সেবা হিসেবেই ধরা হয়। তাই ব্যাংক বন্ধের ঘোষণায়, মানুষের নগদ অর্থে টান পড়বে বলেই আশঙ্কা তৈরি হয়। গত বছর করোনা সংক্রমণের পর ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটির মধ্যেও ব্যাংক বন্ধ থাকেনি।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য বাইরে জনসমাগমে বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংক খোলা ছিল আড়াই ঘণ্টার জন্য। সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলেছে লেনদেন। এরপর কঠোর বিধি নিষেধের আগের দুই দিন সোমবার সকাল ১০টা থেকে দেড়টা আর মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত লেনদেন চলে।
সে হিসেবে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) ছিল ব্যাংকের শেষ কার্যদিবস। তাই দিনভর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। বেশির ভাগ ব্যাংকেই বাইরে ছিল গ্রাহকের লম্বা লাইন। বেশির ভাগ গ্রাহককেই ঘন্টাখানেকের ওপর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বেলাবাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেতরেও তৈরি হয় গ্রাহক জটলা।
এদিকে এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ব্যাংক আগেই জানিয়েছে, ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে এ সময়ে ব্যাংকগুলোর এটিএম বুথ থেকে দিনে এক লাখ টাকা পর্যন্ত তোলা যাবে। এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বর্তমানে বেশির ভাগ ব্যাংকের কার্ড দিয়ে দিনে ৫০ হাজার টাকা ও কিছু ব্যাংক থেকে বেশি টাকা করা যায়।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`