পোশাক কারখানা বন্ধ হলে বরং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে, দাবি মালিকদের
পোশাক কারখানা বন্ধ হলে বরং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে, দাবি মালিকদের
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যেও কারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন পোশাক শিল্প মালিকরা। তারা বলছেন,কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকরা গ্রামে ফিরতে গিয়ে উল্টো সারাদেশে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে।
রবিবার (১১ এপ্রিল) বিজিএমইএ,বিকেএমইএ,বিটিএমএসহ আরও কয়েকটি মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা এই যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুস সালাম বলেন,’গত বছর সাধারণ ছুটি ও পরবর্তীতে দুই ঈদে শ্রমিকদের ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে যাওয়ায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা উপেক্ষা করা যায় না। লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই ব্যাপক সংখ্যক শ্রমিক শহর ছাড়তে পারেন। এতে দেশব্যাপী সংক্রমণের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।
এই অবস্থায় বস্ত্র ও পোশাক খাত ও সহযোগী খাত লকডাউনের আওতাধীন রাখা হলে সংক্রমণের বিস্তারের ঝুঁকি বাড়বে। সেই সাথে লকডাউন শেষে এসব শ্রমিক কর্মস্থলে ফিরে আসার ক্ষেত্রেও দেখা দেবে অনিশ্চয়তা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত বছরের মার্চে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে পোশাক কারখানাও বন্ধ হয়েছিল। এর মধ্যে এপ্রিলের শুরুতে কারখানা খোলার খবরে হাজার হাজার শ্রমিক ঢাকার পথে রওনা হয়।
বাস-ট্রেন না চলায় এসব শ্রমিক হেঁটেই পাড়ি দেয় মাইলের পর মাইল পথ। ঢাকায় ফিরে কারখানা বন্ধ দেখে আবার ফিরেও যায়। কিছু দিন পর কারখানা খুললে আবার এসে কাজে যোগ দেয় এই সব শ্রমিক।
পোশাক শিল্প মালিকদের দাবি,স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কারণে পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম। পোশাক শিল্প মালিকদের দাবি,স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কারণে পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম। আসন্ন কঠোর ‘লকডাউনেও’ পোশাক শিল্পকে আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়ে শিল্প মালিকরা বলেন,উন্নত বিশ্বসহ প্রতিযোগী দেশগুলোতেও রপ্তানিমুখী কারখানাগুলো ‘লকডাউনের’ আওতামুক্ত।
কারখানা বন্ধ হলে দেশের রপ্তানিতে ‘মারাত্মক নেতিবাচক’ প্রভাব পড়বে দাবি করে সালাম বলেন, আমাদেরকে ক্রয়াদেশগুলো অনেক আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে। সেই অনুযায়ী উৎপাদন ও জাহাজীকরণ পূর্ব নির্ধারিত থাকে। তাই এই খাতগুলোতে লকডাউন কার্যকর হলে নতুন করে ক্রয়াদেশ বাতিলসহ নানা বিপর্যয়ের ঝুঁকি রয়েছে। সাপ্লাই চেইন বিপর্যস্ত হলে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ জট, কনটেইনার জট ও অন্যান্য বিপত্তি যুক্ত হবে। পাশাপাশি প্রতিযোগী দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশ বাজার হারাবে।
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান, বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ, বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বাংলাদেশ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`