সময়টিকে গুছিয়ে নিয়ে উন্নয়নশীলতার পথে এগুতে চায় সরকার
সময়টিকে গুছিয়ে নিয়ে উন্নয়নশীলতার পথে এগুতে চায় সরকার
নব্য উন্নয়শীলতার রোডম্যাপ তৈরি করবে সরকার। আর তা দ্রুতই। সল্পোন্নত দেশে থেকে উন্নয়নশীল দেশে পা ফেলার শুরুর দিকটা বিশেষ করে এই পরিবর্তনের সময়টিকে সরকার গুছিয়ে নিয়ে এগুতে চায়। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে গণনা করার জাতিসংঘ সুপারিশের পর বিশ্ব মিডিয়া এ নিয়ে নানা সংবাদ প্রকাশ করছে। বাংলাদেশের প্রশংসা এসেছে এসব রিপোর্টে। দেশীয় সংবাদমাধ্যমগুলোও দিচ্ছে এই উত্তরণের নানামুখী পরামর্শমূলক তথ্য। উঠে আসছে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা। আগামী পাঁচ বছরের জন্য রোডম্যাপ তৈরি তারই অংশ।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বরাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ শুধু নিজেই নয়, আঞ্চলিকপর্যায়ে সকলকে নিয়ে কিভাবে এগুনো যায় সে পরিকল্পনাও নিচ্ছে। শ্রীলঙ্কা ও নেপালের সঙ্গে হতে যাচ্ছে বিশেষ অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি। একটি জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, যার কাজ হবে উন্নয়নশীল দেশের পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার রোডম্যাপ প্রণয়ন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক) কে প্রধান করে সকল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদের নিয়ে এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। তারা জাতিসংঘের উন্নয়ন নীতি কমিটি (ইউএনসিডিপি)'র দেওয়া সুপারিশগুলো নিয়ে কাজ করবে। এছাড়া শিগগিরই ঢাকা সফরে আসছে ইউএনসিডিপি'র একটি দল। যারা এই টাস্কফোর্সকে রোডম্যাপ তৈরিতে সহায়তা করবে। ইউএনসিডিপিরও রয়েছে বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা যা বাংলাদেশকে এই সময়ের মধ্যে আয়ত্ব করে নিতে হবে। মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাতে একটি খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ঠিক কি কি ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণ করবে এবং কারিগরি সহায়তা দেবে।
কিছু সময় বেঁধে দেওয়া কর্মপরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হবে। পরিকল্পনার একটি আউটলাইন এরই মধ্যে ইউএনসিডিপি-কে পাঠানো হয়েছে। এরপর প্রতিবছর পাঠানো হবে অগ্রগতি প্রতিবেদন।
আঞ্চলিক পর্যায়ে সহযোগিতা বাড়াতে শ্রিলঙ্কা ও নেপালের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি-পিটিএ সই করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। একটি টেকসই গ্রাজুয়েশন প্রকল্প হাতে নিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ। এই প্রকল্পের আওতায় জাতীয় টাস্ক ফোর্সের কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে। যার সেক্রেটারিয়েট সহায়তাও আসবে এই প্রকল্প থেকে। প্রকল্পের আওতায়ই হবে এই রোডম্যাপ ও কৌশল নির্ণয়।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ইউএনসিডিপি তার নিজস্ব নিরূপণের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত করার সুপারিশ করে। ২০২৪ সালে ইউএনসিডিপি আরও একবার মূল্যায়ন করবে। সে সময়ে খতিয়ে দেখা হবে বাংলাদেশ তার অর্থনীতির যাত্রায় কোথাও পিছিয়ে পড়ছে কি না। সরকারের নেওয়া প্রকল্প, রোডম্যাপ ও কৌশল সবকিছুই এই অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে বলেই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`