ঐতিহাসিক স্বপ্নপূরণ বাংলাদেশের, পদ্মাসেতু পেলো পূর্ণ কাঠামো
ঐতিহাসিক স্বপ্নপূরণ বাংলাদেশের, পদ্মাসেতু পেলো পূর্ণ কাঠামো
ঘড়ির কাটায় তখন ঠিক দুপুর ১২টা। মূহুর্তটি পরিণত হলো বাংলাদেশের ইতিহাসের এক মাহেন্দ্রক্ষণে। ঠিক তখনই কম্পিউটারের সাহায্যে নিক্তির মাপকাঠিতে সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম হিসাবে, প্রকৌশলী ও শ্রমিকদের দক্ষতায় পদ্মাসেতুতে বসে যায় ৪১তম স্প্যান। ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারের বিয়ারিং প্যাডের ওপর বসানো হয় স্প্যানটি। এর মধ্য দিয়ে স্বপ্নের পদ্মাসেতু পেলো তার পূর্ণ ৬.১৫ কিলোমিটার কাঠামো। ঐতিহাসিক এক স্বপ্নপূরণ হলো বাংলাদেশের।
৪১তম এই স্প্যান সেতুর দুই পিয়ারের উপর বসিয়ে দিতে সময় লাগে আড়াই ঘণ্টা। তবে আগের রাতে স্প্যানবাহী ক্রেন তিয়ান ই এসে এগিয়ে থাকে নির্দিষ্ট পিয়ারের কাছাকাছি। সকাল সাড়ে ৯টায় যখন সক্রিয় হন সেতু প্রকৌশলী ও শ্রমিকরা তখন পদ্মা কুয়াশা ঢাকা। তার মধ্যেই কাজ শুরু হলো। কাজ এগিয়ে চলছিলো স্প্যান বসানোর।
এর আগের প্রতিমূহুর্তের আপডেট
দুপুর ১২ টা: পদ্মাসেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারের উপর বসে যায় ৪১তম স্প্যান
সকাল ১১টা ৩০: অতি সুক্ষ্ম হিসাবে ইঞ্চি ইঞ্চি করে নিচে নামিয়ে নেওয়া হচ্ছিল স্প্যান
সকাল ১১টা ১৫ মি: কম্পিউটারের সাহায্যে ক্ষণে ক্ষণে সেতুর ওপর নামিয়ে আনা হচ্ছে স্প্যানটি
সকাল ১০টা ৪৮ মিনিট: দুই স্প্যানের মাঝামাঝি ঢুকিয়ে নেওয়া হয়েছে স্প্যান, এখন বসিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু
সকাল ১০টা ৪০ মিনিট: আরও ভেতরে ঢুকে পড়েছে ৪১তম স্প্যান, সমান করে বসানোর প্রক্রিয়া চলছে
সকাল ১০ টা ৩৫ মি: সেতু ছুয়ে ফেলেছে ৪২ তম স্প্যান, ঝুলে আছে ক্রেনে। চার দিকে সমানভাবে মিলিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু
সকাল ১০টা ৩০ মি: সেতুর ৫-৭ গজের মধ্যে পৌঁছে যায় স্প্যানটি। অতি সুক্ষ্মতায় ও সতর্কতায় এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে প্রতিটি ইঞ্চি
সকাল ১০টা ২৭ মি: সেতুর ২০ গজের মধ্যে পৌঁছে যায় স্প্যানটি
সকাল ১০টা ২৫ মি: অতি সতর্কতায় স্প্যানটি ধীরে ধীরে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে দুই দিকে এরই মধ্যে বসে যাওয়া দুটি স্প্যানের মাঝখান দিয়ে।
সকাল ১০টা ২০ মি: স্প্যানটি বয়ে আনা হয়েছে সেতুর ১০০ গজের কাছাকাছি, সেতুর পিয়ারের সমান উচ্চতায়
সকাল ১০টা ৫মি: স্প্যানটি নিয়ে ক্রমেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করে স্প্যানবাহী ক্রেন
সকাল ১০টা: স্প্যানটি উচ্চতায় পিয়ারের সমান করে নেওয়ার কাজ সম্পন্ন
সকাল ৯ টা ৪৫ মি: ক্রেনের উপর স্প্যানটি ধীরে ধীরে উপরে তোলা শুরু হয়
সকাল ৯টা ৪০ মি: কুয়াশা অনেকটা কেটে গেছে। পিয়ারের উপর বিয়ারিং প্যাডের ভিজিবিলিটি তৈরি হলেই তুলে দেওয়া হবে স্প্যান।
সকাল ৯টা ৩৫: ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারের অনেকটা কাছে পৌছে যায় তিয়াং ই নামের ক্রেনটি।
সকাল ৯টা ৩০ মি: শেষ স্প্যানটি নিয়ে সেতুর নির্দিষ্ট পিয়ারের কাছে এগিয়ে যাচ্ছে স্প্যানবাহী ক্রেন
আগের রাতে ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারের অনেকটা কাছাকাছি নিয়ে আসা হয় স্প্যানবাহী ক্রেন তিয়ান ই। কুয়াশা ঢাকা নদীতে সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয় কাজ। চার বছরের সেতু নির্মাণ প্রক্রিয়া চলছে। সাড়ে তিন বছর ধরে চলছে পিয়ার তুলে আনা ও স্প্যান বসানোর প্রক্রিয়া। তৈরি হয় ৪২টি পিয়ার যার উপরে বসানো শুরু হয় স্প্যান।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`