বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১ || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

এমসি কলেজের গণধর্ষণে অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপার দায়ী নন: তদন্ত কমিটি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

২০:০৬, ২ অক্টোবর ২০২০

১২৫১

এমসি কলেজের গণধর্ষণে অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপার দায়ী নন: তদন্ত কমিটি

১২৮ বছরের পুরনো সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনায় নতুন যোগদান করা অধ্যক্ষ সালেহ উদ্দিন আহমদ দায়ী নন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। এছাড়া ঘটনার দিন হোস্টেল সুপার জামাল উদ্দিন ছুটিতে থাকায় তাকেও দায়ী করতে পারেনি তদন্ত কমিটি। 

তবে জনবল সংকট,অপর্যাপ্ত সীমানা প্রাচীর,পর্যাপ্ত আলোর ঘাটতিসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনার সীমাবদ্ধতাকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে এসব বিষয় উঠে এসেছে। কমিটি প্রধান জানিয়েছেন, সার্বিক তদন্তের ভিত্তিতে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হবে।
সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে গত ২৬ সেপ্টেম্বর স্বামীকে আটকে রেখে ছাত্রবাসে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার পর গত ২৮ সেপ্টেম্বর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তাতে কমিটি প্রধান হলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী।

তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী বলেন,‘প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। যেসব সংকট ও ঘাটতি ছিল তা উল্লেখ করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের সুপারিশ করা হয়েছে প্রাথমিক তদন্তে। সার্বিক তদন্তের পর বিস্তারিত প্রতিবেদনে সব বিষয় উঠে আসবে।’  

তদন্ত প্রতিবেদনে জনবল সংকটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়,সাতটি ব্লক থাকলেও হোস্টেল সুপার মাত্রচার জন। হোস্টেলগুলো বসবাসের উপযুক্ত নয়। ছুটি থাকলেও নির্মাণ কাজ চলায় বহিরাগতদের যাতায়াত ছিল। সাতটি ব্লকের জন্য চার জন হোস্টেল সুপার থাকেন। ভেতরে থাকার উপযুক্ত পরিবেশ নেই। সিকিউরিটি গার্ডরা পালা করে দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্বে থাকা যে প্রহরী ঘটনার দিন ছিলেন না,তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।’ 

গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এক দম্পতি নিজেদের গাড়ি নিয়ে এমসি কলেজ এলাকায় বেড়াতে যান। এক দল তরুণ স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করলে প্রতিবাদ করেন স্বামী। একপর্যায়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই গাড়িসহ জোর করে ছাত্রাবাসের দিকে তুলে নিয়ে যান তারা। এরপর স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ করেন ওই তরুণেরা।

এ ঘটনায় তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছিলেন। ঘটনায় জড়িত তরুণেরা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মামলার ১ নম্বর আসামি সাইফুর রহমান, ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্কর ও ৫ নম্বর আসামি রবিউল ইসলামের রিমান্ড শেষ হয় শুক্রবার। বর্তমানে আরও পাঁচ আসামি রিমান্ডে আছে।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত