ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, বিসিএস, ব্যাংক ও বিভিন্ন সংস্থার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগে ঢাবির ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের মামলা বিচারের জন্য প্রস্তত হয়েছে।

বুধবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর ছিদ্দিকের আদালত মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় নথি সিএমএম বরাবর প্রেরণের আদেশ দেন।

জানা যায়, অভিযোগপত্রে ১২৫ জনের মধ্যে ৮৭ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মামলায় ৪৬ আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে ৯ আসামি পলাতক রয়েছে।

তদন্তকালে আসামিদের নামে ২০ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে এরই মধ্যে উত্তরা পশ্চিম থানায় মানি লন্ডারিং আইনে মামলাও করে সিআইডি।

২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক মহিউদ্দিন রানা ও আবদুল্লাহ আল মামুন নামে দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। পরদিন তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারা ও ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯(খ) ধারায় মামলা করা হয়।

২০১৯ সালের ২৩ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র এএসপি সুমন কুমার দাস ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারায় একটি এবং ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনের ৯(খ) ধারায় আরেকটি চার্জশিট দাখিল করেন।