শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১ || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

প্রধান শিক্ষক হত্যা মামলায় ৪ জনের ফাঁসি, ৯ জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

১৩:৪৫, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

আপডেট: ১৩:৫৬, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

৪২৩

প্রধান শিক্ষক হত্যা মামলায় ৪ জনের ফাঁসি, ৯ জনের যাবজ্জীবন

প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছামাদ আজাদ হত্যা মামলায় চার আসামিকে ফাঁসির আদেশ
প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছামাদ আজাদ হত্যা মামলায় চার আসামিকে ফাঁসির আদেশ

শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি সরফ আলী উচচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছামাদ আজাদ হত্যা মামলায় চার আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। 

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর  বিচারক মো. মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন-নুরুজ্জামান খান,জাহাঙ্গীর মাতবর, জুলহাস মাতবর ও চান মিয়া। 

এছাড়াও মামলাটিতে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মোল্লা,আজিজুল মাতবর, ফারুক খান, আজাহার  মাতবর, মীজান মীর, আকতার গাজী, জলিল মাতবর, এমদাদ মাতবর ও লাল মিয়া। দণ্ডে আরও ২০ হাজার টাকা জরিমানার কথা বল আ হয়েছে, অনাদায়ে ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে।

জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি সরফ আলী উচচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন আব্দুস ছামাদ আজাদ। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৎকালীন চেয়ারম্যান হালিম মোল্লার কাছে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। 

পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর জন্য তিনি এলাকায় পোস্টারিং করে আসছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হালিম মোল্লা হুমকি দেন। ওই অবস্থায় ২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারি শিক্ষক ছামাদ আজাদ সন্ধ্যে ৭টার দিকে শরীয়তপুর জেলার পালং থানার সন্তোষপুর বাস ষ্ট্যান্ডের লক্ষ্মীর মোড়োএ বাবুল মুন্সির কোকারিজের দোকান থেকে বের হয়ে রাস্তার উপর আসার পরই তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।  

ওই ঘটনায় তৎকালীন চেয়ারম্যান হালিম মোল্লা ও সাবেক চেয়ারম্যান আজিবর বালীসহ ৩০ জন এবং অজ্ঞাতামানা ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে পালং থানায় নিহতের স্ত্রী একটি মামলা করেন।

একই বছর ১৪ আগস্ট একই থানার এসআই শহীদুল ইসলাম ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে মামলাটি নারাজির ভিত্তিতে অধিকতর তদন্তে যায়। অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১১ মে একই থানার এসআই সুলতান মাহমুদ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলাটি বিচারের জন্য শরীয়তপুরের সিনিয়র দায়রা জজ আদালতে যায় ২০১৪ সালে। সেখানে ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। পরে ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর প্রজ্ঞাপন জারি হয়। পরে একই বছর ৯ সেপ্টেম্বর থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত