বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১ || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

আগুনে ৫২ জনের মৃত্যু: সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান-এমডিসহ আটক ৮

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

১৫:৪৬, ১০ জুলাই ২০২১

আপডেট: ১৬:০২, ১০ জুলাই ২০২১

৭৪৮

আগুনে ৫২ জনের মৃত্যু: সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান-এমডিসহ আটক ৮

গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডসের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ পর্যায়ের ৮ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১০ জুলাই) ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আর নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানিয়েছেন, আটককৃতদের মধ্যে হাসেম ফুড অ্যান্ড ব্র্যাভারেজের চেয়ারম্যান এম এ হাশেম, তার পরিচালক সন্তানরাসহ, সিইও ও ডিজিএম পর্যায়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন।

এর আগে রূপগঞ্জ থানায় ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়। এতে আসামি করা হয়, সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হাসেম, হাসীব বিন হাসেন, তারেক ইব্রাহীম, তাওসীব ইব্রাহীম, তানজীম ইব্রাহীম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহান শাহ আজাদ, উপ মহাব্যবস্থাপক মামুনুর রশিদ, সিভিল ইঞ্জনিয়ার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিনকে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশ এ ঘটনায় স্তব্ধ। একসঙ্গে এতজনের প্রাণহানি খুবই দুঃখজনক। প্রথমে তিনজন, পরবর্তীতে ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়। ফায়ার সার্ভিস কিছু জীবিতদেরকেও উদ্ধার করেছে। এখন পর্যন্ত আটজনকে আটক করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, এ ঘটনায় পৃথক তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। কারখানায় কতজন লোক কাজ করত, সবই তদন্তে বেরিয়ে আসবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি সহযোগিতা করা হয়েছে। আরও সহযোগিতা প্রয়োজন হলে সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে।

মামলা ও দোষীদের শাস্তির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এর সঙ্গে সামান্যতম দোষীদেরকেও আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। তবে তদন্তের আগে বিস্তারিত কিছু বলতে চাচ্ছি না। তদন্ত শেষে অবশ্যই তাদের বিচার হবে।’

সকালেই জানা গিয়েছিল এ ঘটনায় পুলশি বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

কারখানায় আগুনে নিহতদের বেশির ভাগই শিশু। এতে শিশু শ্রমের বিষয়টি আবার সামনে চলে এসেছে। কারখানায় শিশু শ্রমের বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কতজন শিশুশ্রমিক ছিল তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ছয় তলা ভবনের চতুর্থ তলা পর্যন্ত তল্লাশি শেষে শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুরের পর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা মরদেহ বের করে আনতে শুরু করেন। মোট ৪৯টি মৃতদেহ পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

কিন্তু মৃতদেহগুলো পুড়ে এতটাই বিকৃত হয়ে গেছে যে সেগুলো দেখে আর পরিচয় বোঝার সুযোগ নেই। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে মেলানো ছাড়া অন্য কোনোভাবে পরিচয় শনাক্তের উপায় নেই।
এ পর্যন্ত ১৮ জন স্বজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে আবারও নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে কাছের আত্মীয় বাবা, মা, ভাই বোনদের আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এদিকে কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও এখনও পুরোপুরি নেভেনি। ভবনের সবকটি ফ্লোর এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি ছিটিয়ে ধোঁয়া নিবারণ এবং আবারও যাতে আগুন না লাগে সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত