বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১ || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

হাইকোর্টের রুল: ডিআইজি মিজানের জামিন কেন নয়?

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

১৬:১৫, ৮ জুন ২০২১

৫১৪

হাইকোর্টের রুল: ডিআইজি মিজানের জামিন কেন নয়?

মিজানুর রহমানকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে
মিজানুর রহমানকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে

সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দুই মামলায় পুলিশের সাময়িক বরখাস্তকৃত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (৮ জুন) এ আদেশ দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তার সঙ্গে ছিলেন মাহবুব শফিক। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

আইনজীবী মাহবুব শফিক বলেন, ‘আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্র এবং দুদককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’

সম্পদের তথ্য গোপন ও দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগের দুই মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেন ডিআইজি মিজান। মঙ্গলবার ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করে।

ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের পরিচালক মনজুর মোর্শেদ বাদী হয়ে সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন।

মামলায় মিজান ছাড়াও আসামি তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাগনে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান।

আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

এ ছাড়া ২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিজের বিরুদ্ধে পরিচালিত দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান। ঘুষ লেনদেনসংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ওই চ্যানেলকে দিয়েছিলেন মিজান। ডিআইজি মিজান নিজেও এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে ডিআইজি মিজান দাবি করেন।

এ প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর দুদকের সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন।

২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে পুলিশের বরখাস্তকৃত ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত