কর্মচারী পৌরসভার, কাজ করেন সাবেক সাংসদ ও মেয়রের
কর্মচারী পৌরসভার, কাজ করেন সাবেক সাংসদ ও মেয়রের
চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর পৌরসভায় নিয়মিত অফিস না করেও বেতন নিচ্ছেন ২০ জন কর্মচারী। এরমধ্যে ৪ জন নিয়মিত ও ১৬ জন মাস্টাররোলের কর্মচারী রয়েছেন। বিষয়টি নতুন নির্বাচিত মেয়র মতিউর রহমান খানের নজরে আসলে তিনি সচিব খাইরুল হককে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার রহনপুর পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান খান সাংবাদিকদের কাছে লিখিত তথ্য সরবরাহ করেন। তাতে দেখা যায়, নিয়মিত কর্মচারীদের মধ্যে স্টোর কিপার আনোয়ারুল ইসলাম, গার্বেজ ট্রাক চালক আমিনুল ইসলাম বাবু ও কনজারভেন্সি সুপার ভাইজার আনিসুর রহমান নিয়মিত দায়িত্ব পালন না করে সাবেক একজন সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকেন বলে অভিযোগ করা হয়। আর টিকাদানকারী পদে থাকা শামীমআরা বেগম মাঝে মাঝে অফিস করলেও ৯ ঘন্টার মধ্যে ২ ঘন্টা অফিস করেন এছাড়া তিনি বেশিরভাগ সময় অনুপস্থিত থাকেন বলে জানানো হয়।
এদিকে ১৬ জন অনিয়মিত কর্মচারীর মধ্যে পাম্প অপারেটর জামিরুল বিশ্বাস কাজ না করে সাবেক সংসদ সদস্যের বাড়িতে কাজ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ মিস্ত্রি বদিউর রহমান, টিকাদার সুপারভাইজার সেলিম রেজা, কার্যসহকারী, শাহরিয়ার হোসেন, সড়কবাতি পরিদর্শক আব্দুর রহমান, অপর পাম্প অপারেটর মাইনুল ইসলাম, গাড়ী চালক খাইরুল ইসলাম, পাইপ লাইন মেকানিক শহিদুল ইসলাম, ভাল্ব অপারেটর সাইফুল ইসলাম, নকশাকার কারিমুল (বক্স) রনি, সহকারি কর আদায়কারী রাবেয়া খাতুন শিল্পী, কসাইখানা পরিদর্শক পারভেজ হাসান, টিকাদানকারী সায়েদা খাতুন নিপা দায়িত্ব পালন না করে সাবেক এক পৌর মেয়রের ব্যক্তিগত কাজ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। দৈনিক কনজারভেন্সি লেবার জাইদুর রহমান মাসের পর মাস কাজ না করে সাবেক সংসদ সদস্যর ব্যক্তিগত ও দলীয় কার্যালয়ে কাজ করেন। এছাড়া দৈনিক কনজারভেন্সি লেবার আবু তালেব নিয়মিত অফিস না করে তার ব্যক্তিগত ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠানে সময় ব্যয় করে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন।
অভিযোগ ওঠা কর্মচারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে তারা নিয়মিত অফিস করছেন বলে জানান।
এ প্রসঙ্গে পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী এ্যাসোশিয়েসনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন জানান, সদ্য বিদায়ী মেয়র তারিক আহমদের সময়ে কিছু সংখ্যক কর্মচারী এ অনিয়মগুলো করত। বর্তমান মেয়র মতিউর রহমান খান দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে কর্মচারীরা নিয়মিতই অফিস করছেন। তবে কয়েকজন একটু অনিয়ম করছে।
ব্যক্তিগত কাজে পৌর কর্মচারী ব্যবহারের অভিযোগ প্রসঙ্গে সাবেক পৌর মেয়র তারিক আহমেদ অপরাজেয় বাংলাকে জানান, যখন তিনি মেয়র ছিলেন তখন হয়তো কয়েকজন যাতায়াত করতো তার বাসায়। অফিস টাইমের পরে তার সঙ্গে থাকতো কেউ কেউ। তারা তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করার পরই এসব করতো। এটা দোষের কিছু না। বলেন, একজন শিক্ষিত চাকুরীজীবী কারো বাসায় কাজ করবে এটা কি কোন বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ।
কর্মচারীদের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে পৌর সচিব খাইরুল হক জানান, কিছু কিছু কর্মচারী এ অনিয়মগুলো করছে। ২২ মার্চ (সোমবার) অনুষ্ঠিত স্টাফ কাউন্সিলের বৈঠকে পৌর মেয়র এ বিষয়ে কর্মচারীদের সর্তক করেছেন।
নিয়মিত ও অনিয়মিত কর্মচারীদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করা প্রসঙ্গে রহনপুর পৌর মেয়র মতিউর রহমান খান জানান, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে করা সভায় এ বিষয়ে সর্তক করা হয়েছে। এছাড়া অনিয়মিত কিছু কর্মচারীর সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`