ফেনীতে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ, মেঝে-বারান্দায় রোগী
ফেনীতে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ, মেঝে-বারান্দায় রোগী
ফেনী জেনারেল হাসপাতালে হঠাৎ করেই বেড়েছে রোগীর চাপ। বেশিরভাগ রোগীই ঠান্ডা-জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে বারান্দা ও মেঝেতেই রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে কিছুটা হিমশিম খেলেও সামথর্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে, জেলার এ হাসপাতালের তিনটি ওয়ার্ডে ৭৮ জন রোগীর আসনে ভর্তি রয়েছেন ২০৫ জন।
চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হঠাৎ ভ্যাপসা গরম, রাতের শেষ ভাগে শীত ও কুয়াশা পড়ার কারণে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মূলত মৌসুমি আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এসব রোগের প্রকোপ বাড়ছে।
ফেনী জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ড ও মেডিসিন ওয়ার্ডে অতিরিক্ত রোগী গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীর চাপে হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভেতর মেঝেতেও ফোম দিয়ে বাড়ানো হয়েছে শয্যা। কোথাও পা রাখার জায়গা নেই। ওয়ার্ডের ভেতরে স্থান না পেয়ে নিরুপায় হয়ে অনেক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বারান্দায়।
হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসা নেওয়া দেড়মাস বয়সী শিশু ফারিয়া সুলতানার মা মর্জিনা আক্তার জানান, ৫/৬ দিন আগে ফারিয়ার জ্বর ও ঠান্ডা দেখা দেয়। স্থানীয় চিকিৎসকের ওষুধ খেয়ে কোনো কাজ হয়নি। তাই নিরুপায় হয়ে গত ১১ অক্টোবর সোমবার মেয়েকে নিয়ে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। শয্যা না থাকায় বারান্দাতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এছাড়া বারান্দায় রোগীদের চাপে নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
হাসপাতালের নার্স ইনচার্জ নিলুফা সুলতানা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগী বেড়েছে। প্রতিদিনই ছাড়পত্রের তুলনায় নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে কষ্ট হলেও চিকিৎসক-নার্সরা সাধ্য অনুযায়ী তাদের সেবা দিয়ে আসছেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, গত ১৬ অক্টোবর শনিবার ফেনী জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২৬ জনের শয্যার বিপরিতে ৭৩ জন ভর্তি রয়েছেন। এছাড়াও পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ৫২ জনের শয্যায় ১৩১ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়াও বহির্বিভাগে প্রতিদিন শত শত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। যাদের বেশির ভাগই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।
তিনি আরও জানান, শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডের বেশিরভাগ রোগী জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত। আবহাওয়া পরিবর্তন, বৃষ্টি, গরম, ঠান্ডার কারণে মানুষ এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল খায়ের মিয়াজী জানান, আবহাওয়া পরিবর্তন জনিত কারণে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। জেলার সবচেয়ে বড় এ হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে রোগীরা হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীদের আন্তরিক সেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক ও নার্সদের বিষয়ে মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`