শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ || ৫ বৈশাখ ১৪৩১ || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

কক্সবাজারে পাহাড় ধসে আরো ৬ জনের মৃত্যু

বাসস

১৫:৩৯, ২৮ জুলাই ২০২১

আপডেট: ১৫:৪২, ২৮ জুলাই ২০২১

৩২৮

কক্সবাজারে পাহাড় ধসে আরো ৬ জনের মৃত্যু

কক্সবাজারে পাহাড় ধসে আরো ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় দুই দিনে ১৩ জনের মৃত্যু হলো পাহাড় ধসের ঘটনায়। এদিকে অব্যাহত ভারী বর্ষণে জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জলবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৩০টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। 

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন বুধবার (২৮ জুলাই) ভোর রাতের দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ভিলেজারপাড়ায় পাহাড় ধসে বসত ঘরে মাটি চাপায় একই পরিবারের ৫ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। ওই সময় তারা ঘুমন্ত ছিল। মৃতরা , ওই এলাকার সৈয়দ আলমের সন্তান। তাৎক্ষণিক তাদের নাম পাওয়া যায়নি।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, হ্নীলা ভিলেজারপাড়ায় ৪নং ওয়ার্ডের সৈয়দ আলমের বাড়ির পাশে পাহাড় ধসে তাদের বসত ঘরটি মাটির নিচে চাপা পড়ে। এতে ওই পরিবারের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে মারা যায়। তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ভোরে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

চেয়ারম্যান রাশেদ জানান, টানা বর্ষণে হ্নীলা ইউনিয়নে ৫শত বসতবাড়ি প্লাবিত ও বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সহায় সম্পদ। মানুষের দুর্ভোগ চরমে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে সহযোগিতা চান তিনি।

এদিকে মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের রাজুয়ার ঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসে আলী হোসেন (৮০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ভোর রাতে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু বকর সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে বাড়িতে মাটি ঢুকে পড়ে। এতে অন্যান্য সদস্যরা বের হতে পারলেও ঘরে আটকে যায় বৃদ্ধ আলী হোসেন। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পাহাড় ধসের ঘটনায় মৃত আলী হোসেনের পরিবারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ভারী বর্ষণ ও পাহাড় থেকে নেমে আসা পানিতে কক্সবাজার জেলার শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবারও জেলায় পাহাড় ধসে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমদ বলেন, পাহাড় ধসে ক্যাম্পের আরো কিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সকলকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক শ্রাবস্তি রায় বলেন- অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কক্সবাজার সদর, রামু, চকরিয়া, উখিয়া, টেকনাফ ও পেকুয়া উপজেলার ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাঁকখালী, মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্টান ও সাইক্লোন সেল্টারগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। 

তিনি জানান- পানিবন্দি লোকজনের জন্য জরুরী খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১৫০ মেট্রিক টন খাদ্য বরাদ্দ করা হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, জেলার প্লাবিত এলাকা ও আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। সেখানে আশ্রিতদের খাবারের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া ইউ্এনওদের নিদের্শনার দিয়েছি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দেখার জন্য। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার কাজ চলছে।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত