মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ || ১০ বৈশাখ ১৪৩১ || ১২ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

চট্টগ্রামে এক করোনা রোগীর দেহে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ শনাক্ত

রাজিব শর্মা, চট্টগ্রাম 

১৬:৪৯, ২৯ জুলাই ২০২১

৬১২

চট্টগ্রামে এক করোনা রোগীর দেহে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ শনাক্ত

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো বিরল মিউকরমাইকোসিসে (ব্ল্যাক ফাঙ্গাস) আক্রান্ত হয়েছেন এক নারী। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হবার পর ষাটোর্ধ্ব ওই নারীর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হয়। বিরল ছত্রাকজনিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে চার দিন ধরে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৬ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুযত পাল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে ওই নারী চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘উপসর্গ দেখে আমরা সন্দেহ করেছিলাম, ওই নারী মিউকরমাইকোসিস রোগে আক্রান্ত। বুধবার (২৮ জুলাই) তার বায়োপসি রিপোর্টে এটি নিশ্চিত হয়েছি।’

আক্রান্ত ওই নারীর নাম ফেরদৌসি বেগম (৬০)। তার গ্রামের বাড়ির চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায়।

জানা যায়, গত ২৫ জুন থেকে জ্বরে আক্রান্ত হন গৃহিনী ফেরদৌস বেগম। চলতি মাসের ৩ জুলাই তিনি কোভিড টেস্টে পজেটিভ হন। ১৫ জুলাই কোভিড নেগেটিভ হলেও তার নানা শারীরিক অসুবিধা দেখা দেয়। পরে স্বজনরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। 

সেখানে চিকিৎসকরা নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এই রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান। নারীর স্বামী পাঁচদিন আগে করোনা পজেটিভ হয়ে মারা গেছেন। এখন তার সন্তানেরা চোখের জলে ছুটোছুটি করছেন ওষুধের জন্য।

রোগীর ছেলে মো. বেলাল হোসাইন বলেন, পাঁচদিন আগে আমি আব্বাকে হারিয়েছি। এখন আমার মা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার জন্য এমপোটেরিসিন-বি ইনজেকশনটি খুঁজছি। কিন্তু তা পাওয়া যাচ্ছে না। প্লিজ আপনারা এই ওষুধের সন্ধান দিন। যত টাকা লাগে আমরা দেব। আমার মাকে বাঁচাতে চাই।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। ওই নারীকে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার বার্ডেম হাসপাতালে পাঠানো হবে।

বিরল এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা খুবই হাতেগোনা। তাই সরকারিভাবে আপাতত ইনজেকশন যোগান দেওয়া সম্ভব নয়। তবে রোগী বাড়লে সরকারি নির্দেশনা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

চিকিৎসকরা বলছেন, খুব কাছাকাছি দীর্ঘ সময় ধরে সংস্পর্শে না গেলে এই রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কম। মূলত কোভিড আক্রান্তদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এই রোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেশি। তবে শুরু থেকেই এই রোগে চিকিৎসা করা জরুরি।

চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. আমির হোসাইন বলেন, এটা খুব দুর্লভ একটা রোগ। এই রোগের চিকিৎসাও ব্যয়বহুল। তবে কারো শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এই রোগ আক্রান্ত হবার কথা নয়। যদি কেউ ক্লোজ কন্টাক্টে থাকে তাহলে তিনিও আক্রান্ত হতে পারেন।সম্প্রতি ভারতে বিরল ছত্রাকজনিত এই রোগটি ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশে এ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে দুজন আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা যায়।
 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত