রাইড শেয়ারিংয়ে ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবিতে মোটর বাইক চালকদের বিক্ষোভে বাধা দিয়েছে পুলিশ। বুধবার (৭ এপ্রিল)  ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে টানা হর্ন বাজিয়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবিতে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন চালকরা। 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত সারাদেশে সাতদিনের 'চলাচলে নিষেধাজ্ঞা' চলছে। এর অন্তর্ভুক্ত বিষয়ের মধ্যে গণপরিবহন ও রাইড শেয়ারিং সার্ভিস বন্ধ ছিল অন্যতম। বুধবার থেকে সরকারি নির্দেশে ঢাকাসহ অন্যান্য সিটি শহরে গণপরিবহন সার্ভিস চালু হয়। তবে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং বন্ধই আছে।

রাইড শেয়ারিং চালুর দাবিতে সকালে মিরপুর ১০ থেকে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভ ৩০-৪০টি মোটরসাইকেল আগারগাঁওয়ে মোড়ে আসে। 

এসময় চালকরা রাইড শেয়ারিং চালুর দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। খিলক্ষেতের দিকেও মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় নামেন চালকরা।

অন্যদিকে, প্রেসক্লাব থেকে শুরু করে পল্টন হয়ে মিন্টু রোডের মাথায় ডিএমপি হেড কোয়ার্টারে পাশে জড়ো হন বাইকাররা। পরে মগবাজারে আসলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

চালকদের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে গণপরিবহন চালু করা হয়েছে। অথচ রাইড শেয়ারিং বন্ধ রাখা হচ্ছে। চালকরা রাস্তায় নামলেই অহেতুক হয়রানি ও মামলা দেওয়া হচ্ছে। তারা বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে এক বিশাল জনগোষ্ঠী এই রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। করোনা নিষেধাজ্ঞা তাদের বিপাকে ফেলে দিয়েছে। একারণে তারা বিক্ষোভে নামতে বাধ্য হয়েছেন। অবিলম্বে রাইড শেয়ারিং চালু করতে দেওয়ার দাবি জানান তারা।

মগবাজার থেকে সামনে এগুতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। লাঠিচার্জের ঘটনাও ঘটে। বাধ্য হয়ে কর্মসূচি স্থগিত করেন রাইডাররা।

রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে মোটরসাইকেলের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহনে গত ৩১ মার্চ থেকে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। আপাতত এই নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী দুই সপ্তাহের জন্য বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।