ড্যাপ-২০৩৫, ঢাকার ভবন সর্বোচ্চ ৮ তলা রাখার প্রস্তাব
ড্যাপ-২০৩৫, ঢাকার ভবন সর্বোচ্চ ৮ তলা রাখার প্রস্তাব
রাজধানী ঢাকার কারওয়ানবাজার এলাকার একটি ভিউ, ছবি: অপরাজেয় বাংলা |
ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ)-২০৩৫ এর আওতায় রাজধানী ঢাকার যে কোনো ভবনের উচ্চতা সর্বোচ্চ আট তলা রাখার প্রস্তাব করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক। শহরকে বাসযোগ্য করার লক্ষ্যে এই প্রস্তাব, এমনটাই বলছে রাজউক।
প্রস্তাবে ঢাকার আশেপাশে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, সাভার পৌরসভা এলাকায় ভবনের উচ্চতা সর্বোচ্চ ৬ তলা বিশিষ্ট রাখার কথা বলা হয়েছে।
তবে জনসংখ্যার ঘনত্বের বিচারে কোথাও কোথাও দুই তলা বাড়িয়ে দেওয়ার সুবিধা রাখা হয়েছে এই ড্যাপ-২০৩৫ প্রস্তাবে।
বার্তাসংস্থা ইউএনবি'র এ সংক্রান্ত খবরে ড্যাপ'র প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলামকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানেই যত্রযত্র বহুতল বিশিষ্ট ভবন গড়ে তোলা হচ্ছে যা এই শহরের বাসিন্দাদের নাগরিক জীবনে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
"একেকটি বহুতল ভবনে অসংখ্য গাড়ি প্রতিনিয়ত ঢুকতে ও বের হতে থাকে। এতে ভবনগুলোর সামনে যানজট তৈরি হয়। এছাড়া অন্যান্য নাগরিক সুবিধাও ব্যহত হয়," বলেন তিনি।
আর এই সমস্যা দূর করতে ভবনের উচ্চতায় নিষেধাজ্ঞা আনাকেই যথার্থ মনে করছে ড্যাপ কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া ঢাকার সঙ্গে বিভিন্ন নগরীকে সংযুক্ত করতে বহুমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা নেওয়ারও প্রস্তাব করা হয়েছে। রেলপথ, সড়কপথ, নৌপথে এই যোগাযোগ বাড়াতে হবে, যাতে ঢাকার কেন্দ্রস্থলে চাপটা কমে আসে।
গাজীপুর, সাভার, কেরাণীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে উন্নততর যোগাযোগ স্থাপন করে, যে সব এলকায় জনবসতি উৎসাহিত করা হবে যাতে ঢাকার জনসংখ্যা কমে আসে। এ জন্য আশেপাশের নগরগুলোর সঙ্গে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নৌ যোগাযোগ স্থাপনের কথা বলা হয়েছে।
নতুন ড্যাপ-এ এলাকাভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রস্তাব করা হয়েছ। প্রতিটি ওয়ার্ডে তিন থেকে চারটি স্কুল স্থাপন, ২৫টি মাঠ ও পার্ক রাখার কথাও বলা হয়েছে। খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ার পেছনে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দূর করতে কালভার্ট, বক্সকালভার্ট নির্মাণকে কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এবং নতুন প্রস্তাবে এইসব কালভার্ট অপসারণ করে খালগুলোতে পানির সঞ্চালন নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা গেলে ড্যাপ এলাকায় ৫৮ কিলোমিটার নতুন নৌপথ তৈরি করা সম্ভব বলে পরিকল্পনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ভূমির ব্যবহারের ভিত্তিতে ঢাকাকে ১৩টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এর কোনোটি শহর, কোনোটি আবাসিক, কোনোটি বাণিজ্যিক ও কোনটি কৃষিভূমি। এর মধ্যে
- শহর এলাকা ৯৪ হাজার ৫৮ হেক্টর, যা মোট মেট্রোপলিটনের ৬১.৮১ ভাগ
- আবাসিক এলাক ১৯ হাজার ৪৫৭ একর, যা মোট পরিকল্পিত এলাকার ৫.১৬ ভাগ
- সাধারণ ব্যবহার্য এলাকা ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৩১ একর, যা মোট এলাকার ৩২.৭৫ শতাংশ
ড্যাপের সূত্র মতে, ২০০৫ সাল নাগাদ ঢাকা নগরীর শহর এলাকা বেড়ে ২০ হাজার ৫৪৯ হেক্টরে দাঁড়ায়। ধীরে ধীরে চাষযোগ্য জমি কমতে থাকে যাকে ১২ হাজার ৪০ হেক্টর থেকে কমে ৬ হাজার ২৩৬ হেক্টরে পৌঁছায়। একইভাবে জলাভূমি ও বনাঞ্চল ৬ হাজার ২৬ হেক্টর থেকে কমে ২ হাজার ৬১২ হেক্টরে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`