ঢাকায় বিচারকদের কর্মশালা
মানবপাচার আধুনিক কালের দাসত্ব: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় বিচারকদের কর্মশালা
মানবপাচার আধুনিক কালের দাসত্ব: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
ঢাকার ট্রাইব্যুনাল বিচারকদের জন্য আয়োজন করা হয় মানবপাচারবিরোধী কর্মশালা |
মানবপাচারকে আধুনিক কালের দাসত্ব হিসেবে বর্ণনা করে পৃথিবীতে এর কোনো স্থান নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার।
ঢাকার ট্রাইব্যুনাল বিচারকদের জন্য আয়োজিত মানব-পাচারবিরোধী এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্য এ কথা বলেন মিলার। তিনি আরও বলেন, মানব পাচার প্রতিরোধে সামিল হওয়া যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অন্যতম অগ্রাধিকার।
বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক ও রাষ্ট্রদূত মিলার যৌথভাবে এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন। ফাইট স্লেভারি অ্যান্ড ট্রাফিকিং ইন-পারসন্স (এফএসটিআইপি) প্রকল্পের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালায় অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি)।
রাষ্ট্রদূত মিলার বাংলাদেশের মানব পাচার প্রতিরোধ কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এ কর্মশালার মাধ্যমে মানব পাচার বন্ধে বাংলাদেশ সরকার, সুশীল সমাজ, বেসরকারি খাত ও পাচারের কবল থেকে মুক্ত হওয়া ব্যক্তিদের সাথে অংশীদারিত্বের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (জেএটিআই) মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ও জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা বিচারক ও জেএটিআই এর পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মোঃ গোলাম কিবরিয়া।
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে জোরদার সহযোগিতার ফলে মানব পাচারের (টিআইপি) বিচারের জন্য সাতটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে এবং মানব পাচার প্রতিরোধে পাঁচ বছরের একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে।
২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন থাকলেও আমেরিকা ও বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী ও বিচার বিভাগীয় অংশীজনেরা স্বীকার করেন যে, মানব পাচারের বিচার ও অপরাধ প্রমাণের হার বাড়ানো প্রয়োজন।
ইউএসএআইডি’র ১০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নপুষ্ট এফএসটিআইপি প্রকল্পের আওতায় বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, সরকারী আইনজীবী ও বিচারকদের জন্য আয়োজিত এ সপ্তাহের কর্মশালার ন্যায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও কার্যকরভাবে মানব পাচারকারীদের বিচার ও অপরাধ প্রমাণে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট’র টিআইপি প্রতিবেদনে পরপর দুই বছর বাংলাদেশ পর্যায়-২-এ অবস্থান অর্জন করেছে। এর মাধ্যমে মানব পাচার বিরোধী লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের ক্রমবর্ধমান সাফল্যের বিষয়টিই উঠে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার পাচারকাজে জড়িত অপরাধীদের বিচারের জন্য বিচার বিভাগের সক্ষমতা জোরদার করেছে। গত পাঁচ বছরে ইউএসএআইডি পাচারকাজে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতার, বিচার ও শাস্তি প্রদানের লক্ষ্যে ৫৬৯ জন বিচারক ও ১,০০০-এরও বেশি পুলিশ, সরকারী আইনজীবী ও উকিলকে মানব পাচার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসূচী ও তহবিলের আওতায় পাচারের কবল থেকে মুক্ত হওয়া ৩,০০০ জনেরও বেশি মানুষকে আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা, পরামর্শ, জীবন-দক্ষতা ও ব্যবসা-উদ্যোগ বিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং চাকরি প্রদানের জন্য স্থানীয় পর্যায়ের সংস্থাগুলোকেও সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`