লকডাউনে কর্মব্যস্ততা নেই সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে
লকডাউনে কর্মব্যস্ততা নেই সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে
কঠোর লকডাউন ঘোষণা করায় ট্যানারি শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততা ছিলো না সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে। |
করোনা সংক্রমণ রোধে দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করায় ট্যানারি শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততা ছিলো না সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে। যাতায়াতের নিজস্ব কোনো ব্যবস্থা না থাকায় হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে আসতে পারেনি। এছাড়া অনেক শ্রমিক ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়ায় স্বল্প শ্রমিক দিয়ে গত তিন'দিন কাজ করিয়েছেন ট্যানারি মালিকরা।
রবিবার ২৫ জুলাই) সরেজমিনে সাভার চামড়া শিল্প নগরী ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি ট্যানারির মূল ফটক বন্ধ রয়েছে। হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি ট্যানারির মূল ফটক খোলা থাকলেও সেখানে গিয়ে লক্ষ্য করা যায়নি ট্যানারি শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততা।
শ্রমিক সংকটের বিষয়ে ট্যানারি শ্রমিক মো. মফিজ বলেন, করোনা এবং লকডাউনের কারণে কারিগর পাওয়া যাচ্ছেনা। ঢাকা থেকে কারিগর না আসায় অনেক চামড়ায় লবণ লাগানো সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেন, আমি হাজারীবাগ থেকে ত্রিশ টাকার ভাড়া দেড়শ টাকা দিয়ে সাভারে এসেছি। এখানে যারা কাজ করে সবাই স্বল্প আয়ের লোক, তাই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অনেকে কাজে আসেনি। তাই লোকবলের অভাবে প্রায় প্রতিটি ট্যানারির বিপুল সংখ্যক চামড়া নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ট্যানারিটির কাঁচা চামড়ার দায়িত্বে থাকা কালাম মুন্সী গরমের সময়টা কোরবানির অনুকূলে নয় দাবি করে বলেন, শীতের সময় একটি চামড়া ৮ ঘণ্টার জায়গায় ১০-১২ ঘণ্টাও রাখা যায়। কিন্তু গরমে ৮ ঘণ্টা একটি চামড়া লবণ ছাড়া রাখা অসম্ভব। তিনি অভিযোগ করেন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এবং কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার এখনও পুরোপুরি কার্যকর না হওয়ায় ইউরোপিয়ান বায়াররা আমাদের কাছ থেকে চামড়া ক্রয় করছেনা।
মেসার্স গোল্ডেন লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ এর ব্যবসায়ীক অংশীদার জাফর চৌধুরী বলেন, গত তিনদিন ধরে বৃষ্টির কারণে অনেক চামড়া নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির পানি চামড়ার জন্য ক্ষতিকর, এটা এসিডের মতো কাজ করে। তিনি আরও বলেন, ঈদের দিনের চামড়া লবণ না মাখিয়ে পরের দিন সকালে ট্যানারিতে বিক্রি করতে নিয়ে আসে একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী। সেই চামড়া নামাতে নামাতে বিকেলে দেখি সবগুলোই নষ্ট হয়ে গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সাভারের বিসিক চামড়া শিল্পনগরী পরিদর্শন করেছেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা। এসময় তিনি বিসিক চামড়া শিল্পনগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) পরিদর্শন করেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হঠাৎ চামড়া শিল্প নগরী পরিদর্শনের উদ্দেশ্য হলো মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সঠিক মূল্য পাচ্ছে কিনা, চামড়ায় সঠিকভাবে লবণ যুক্ত করা হচ্ছে কিনা এবং লবণের কোনো সিন্ডিকেট তৈরি হচ্ছে কিনা এই বিষয়গুলো তদারকি করা।
শিল্প সচিব বলেন, চামড়া একটি পচনশীল পণ্য, এটাকে সময় মত পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণ যুক্ত করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করতে হবে। সরকারের লক্ষ্য পরিবেশসম্মত চামড়া সংরক্ষণ করা। তাই জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনের সহায়তায় অস্থায়ীভাবে কোরবানির চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`