শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১ || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বনানী রেইনট্রি ধর্ষণ: সাফাত আহমেদসহ ৫ জনই খালাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

১৪:৫৬, ১১ নভেম্বর ২০২১

আপডেট: ১৫:০৭, ১১ নভেম্বর ২০২১

৯৭৮

বনানী রেইনট্রি ধর্ষণ: সাফাত আহমেদসহ ৫ জনই খালাস

বনানী রেইনট্রি ধর্ষণ: সাফাত আহমেদসহ ৫ জনই খালাস
বনানী রেইনট্রি ধর্ষণ: সাফাত আহমেদসহ ৫ জনই খালাস

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণ মামলায়, আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ ৫ আসামিকেই খালাস দিয়েছেন আদালত। প্রসিকিউশন থেকে আপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় এই রায় এসেছে। 

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকালেই আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। প্রথমে তাদের রাখা হয় ঢাকা মুখ্য মহানগর আদালতের গারদখানায়। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তোলা হয় এজলাসে। রায়ের ওপর পর্যবেক্ষণ আলোচনা শেষে দুপুর দেড়টার দিকে বিচার্য বিষয় পড়ে শোনান। ২টা ৫০ মিনিটে রায় ঘোষণা করা হয়।

রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক শেষে গত ৩ অক্টোবর রায় ঘোষণার এই তারিখ ঠিক করেন আদালত। ওইদিন ৫ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। 

মামলার অপর চার আসামি হলেন, সাফাত আহমেদের তার বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন।

গত ২৯ আগস্ট আত্মপক্ষ শুনানিতে সাফাতসহ ৫ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।

মামলাটিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্র্ক উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করা হয়। 

মামলাটিতে ২০১৮ সালের ১৩ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর আগে ওই বছরের গত ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করেন।

চার্জশিটে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। অপর আসামি সাদমান সাকিফ, রহমত আলী ও বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়।

গত ২২ আগস্ট মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিটভুক্ত ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত