শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১ || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

৭৫ এ পা রাখলেন সেলিনা হোসেন

সাহিত্য ডেস্ক

১২:১৭, ১৪ জুন ২০২১

আপডেট: ১২:১৮, ১৪ জুন ২০২১

৭৩৮

৭৫ এ পা রাখলেন সেলিনা হোসেন

সেলিনা হোসেন
সেলিনা হোসেন

বাংলা ভাষার শক্তিমান কথাশিল্পী সেলিনা হোসেনের ৭৫তম জন্মদিন আজ (১৪ জুন)। ১৯৪৭ সালে তিনি রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস লক্ষ্মীপুর জেলার হাজিরপাড়া গ্রামে।

তাঁর উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে সমকালের সামাজিক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সংকটের সামগ্রিকতা। বাঙালির অহংকার ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তাঁর লেখায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। 

সেলিনা ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমির গবেষণা সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এর আগে থেকেই তিনি বিভিন্ন পত্রিকাতে উপসম্পাদকীয় বিভাগে নিয়মিত লিখতেন। কর্মরত অবস্থায় তিনি বাংলা একাডেমির 'অভিধান প্রকল্প', 'বিজ্ঞান বিশ্বকোষ প্রকল্প', 'বিখ্যাত লেখকদের রচনাবলী প্রকাশ', 'লেখক অভিধান', 'চরিতাভিধান' এবং 'একশত এক সিরিজের' গ্রন্থগুলো প্রকাশনার দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ২০ বছরেরও বেশি সময় বাংলা একাডেমির ছোটদের পত্রিকা 'ধান শালিকের দেশ' পত্রিকা সম্পাদনা করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে বাংলা একাডেমির প্রথম মহিলা পরিচালক হন। ২০০৪ সালের ১৪ জুন চাকুরি থেকে অবসর নেন।

সেলিনা হোসেনের লেখালেখির শুরু স্কুলে পড়ার সময়েই। কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে সাহিত্যের ভুবনে প্রবেশ করলেও ১৯৬৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তিনি বেছে নেন কথাসাহিত্যকে। তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ উৎস থেকে নিরন্তর প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে। প্রথম উপন্যাস ‘জলোচ্ছ্বাস’ প্রকাশিত হয় ১৯৭২ সালে। তাঁর ‘নীল ময়ূরের যৌবন’ বাংলা ভাষার নিদর্শন চর্যাপদ ও চর্যাকারদের নিয়ে রচিত প্রথম উপন্যাস।

সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য সেলিনা হোসেন একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, ড. মুহম্মদ এনামুল হক স্বর্ণপদক, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার, খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১০ সালে কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডি-লিট উপাধিতে ভূষিত করে।

শক্তিমান এই লেখকের দুটি গ্রন্থ ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’ এবং ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ দিয়ে চলচ্চিত্র এবং কয়েকটি গল্প নিয়ে নাটক নির্মাণ করা হয়েছে। ২০০৫ সাল থেকে শিকাগোর ওকটন কলেজের সাহিত্য বিভাগে দক্ষিণ এশিয়ার সাহিত্য কোর্সে তার ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ উপন্যাসটি পাঠ্যসূচিভুক্ত হয়।

সেলিনা হোসেনের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় একশ’। ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি, কানাড়ি, রুশ, মালে, মালয়ালম, ফরাসি, জাপানি, ফিনিশ, কোরিয়ান প্রভৃতি ভাষায় সেলিনা হোসেনের বেশ কয়েকটি গল্প অনূদিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ‘যাপিত জীবন’ ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর ‘নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি’ উপন্যাসটি পাঠ্যসূচিভুক্ত। শিলচরে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচটি উপন্যাস এমফিল গবেষণাভুক্ত। 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank