বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১ || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বিশ্বশান্তির জন্যই লোকসংস্কৃতি চর্চার তাগিদ সংস্কৃতি বিশেষজ্ঞদের

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

১৫:০৫, ২২ এপ্রিল ২০২২

৮৫৬

বিশ্বশান্তির জন্যই লোকসংস্কৃতি চর্চার তাগিদ সংস্কৃতি বিশেষজ্ঞদের

দুই বাংলার মেলবন্ধন ঘটল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগে লোকসংস্কৃতি বিষয়ক বিশেষ বক্তৃতা অনু্ষ্ঠানে। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ার স্থানীয় সময় দুপুর দু'টায় "লোকসংস্কৃতি বিদ্যাচর্চার সাম্প্রতিক প্রবণতা" প্রসঙ্গে বিশেষ বক্তৃতা করেন ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান  ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মাধ্যমে লোকসংস্কৃতির ভার্চুয়াল অস্তিত্বের নানা দিক উঠে আসে তার বক্তৃতায়। আলোচনায় উঠে আসে লোকসংস্কৃতি প্রচার ও প্রসারে প্রযুক্তিগত নির্ভরতার নানা টেকসই ও সময়োপযোগী আঙ্গিক।

এই বক্তৃতার পূর্বে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মানসকুমার সান্যালের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ও অনু্ষ্ঠানের বক্তা ড. মোস্তাফিজুর রহমান। এসময়  কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকসংস্কৃতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সুজয়কুমার মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।  আলোচনায় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আশা প্রকাশ করেন। 

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আগ্রহের বিষয়টি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে যথাযথভাবে অবহিত করা হবে বলে জানান ড. মোস্তাফিজ। আগামী দিনে এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নানান কর্মসূচি নিয়ে জ্ঞান বিনিময় হলে শিক্ষা-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড মানুষে মানুষে যোগাযোগ আরও বাড়বে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকসংস্কৃতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সুজয়কুমার মন্ডল বলেন, শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক ড. মোস্তাফিজের বক্তব্য সব সময়ই অত্যন্ত মনোজ্ঞ ও শিক্ষনীয়। আমাদের শিক্ষক, গবেষকরা তার বিশেষ বক্তব্যে উপকৃত ও অনুপ্রাণিত হয়েছেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগ ও  আমাদের লোকসংস্কৃতি বিভাগের মধ্যে যৌথভাবে আন্ত:বিদ্যাশৃঙ্খলা নির্ভর গবেষণার কাজ করতে চাই। এর ফলে দুটি বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষকরা ভীষণভাবে উপকৃত হবেন। 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অত্যাধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির যুগে ফোকলোর চর্চা এবং উৎকর্ষের জন্য আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। ফোকলোর পঠন ও পাঠনের সঙ্গে আমরা যারা জড়িত আছি, তাদেরকে প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষম হওয়া জরুরি।

তিনি বলেন, "আমরা জানি, ফোকলোর মানুষের জীবনের অর্থপূর্ণ প্রকাশ ঘটায়। জীবনকে কৃষ্টিগতভাবে অর্থপূর্ণ করার তাগিদে সকলেরই ফোকলোরের জ্ঞান আহরণ করা আবশ্যক।"

তবে বিশ্বশান্তির প্রয়াসে বৈশ্বিক ফোকলোর চর্চায় তাগিদও আমাদের অনুভব করা জরুরি, বলেন তিনি।

লোকসংস্কৃতি বিষয়ক এই বক্তৃতায় অংশগ্রহণ করেণ কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, উচ্চতর গবেষক ও শিক্ষকেরা। অনু্ষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিভাগের অধ্যাপিকা ড. দেবলিনা দেবনাথ।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত